প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

প্রাথমিক শিক্ষা শেষে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা গ্রহণ থেকে অত্র এলাকার শিক্ষার্থীরা ছিল বঞ্চিত। হাতে গোনা কয়েক জন ছেলে দূর-দূরান্তের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনার সুযোগ পেলেও মেয়েরা ছিল সে সুযোগ থেকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত। তাই মাধ্যমিক শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব ও অত্র এলাকার কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় ময়মনসিংহ জেলাধীন গৌরীপুর উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার পূর্বে সহনাটি ইউনিয়নের কেন্দ্রস্থলে গ্রামীন সুন্দর মনোরম পরিবেশে পাছার বাজার সংলগ্ন প্রত্যন্ত পাছার গ্রামে ১৯৮১ সালে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী তৎতালীন ইউ.পি চেয়ারম্যান পরবর্তীতে জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব নজরুল ইসলাম সরকার, জনাব আব্দুল গনি (প্রাক্তন চেয়ারম্যান), মফিজ উদ্দিন সরকার, ডা:মতিউর রহমান(হযরত আলী) এ ছাড়াও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেন। এর প্রেক্ষিতে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী দানশীল, ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে পাছার বাজারে এক আলোচনার মাধ্যমে বাবু প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ ২৭ শতাংশ ও সবুরের নেছা ১৩ শতাংশ জমিদান করেন। দানকৃত জমিটি পাওয়ার পর উক্ত সালেই গ্রামবাসীর নিকট হইতে বাঁশ সংগ্রহ করে ৬০ হাত লম্বা একটি টিনশেড গৃহ নির্মান করে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণির পাঠ্য কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরবর্তী সময়ে গ্রামের আরও দানশীল ব্যক্তিবর্গ বিদ্যালয়ে জমিদান করেন। সন্তোষজনক পাঠ্য কার্যক্রমের ভিত্তিতে ১৯৮৪ সালে বিদ্যালয়টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি পায় ও এমপিও ভূক্ত হয়। আশানুরূপ ফলাফলের ভিত্তিতে ১৯৮৭ সালে বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে। বিদ্যালয়টিতে সহশিক্ষা কার্যক্রমসহ বিজ্ঞান,মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা চালু রয়েছে। পাশাপাশি মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চলমান রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০০০ এবং শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা ১৭ জন। বিদ্যালয়ে চারতলা ভবন ১টি, আধাপাকা ভবন ৪টি, টিনশেড গৃহ ১টি, সুসজ্জিত গ্রন্থাগার ১টি,শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ১টি ও মেয়েদের জন্য আলাদা একটি কমন রুম রয়েছে। সুপেয় পানীয় জল ও প্রয়োজনীয় শৌচাগারের ব্যবস্থা রয়েছে। সুদক্ষ প্রধান শিক্ষক জনাব শাহ্‌ আরশাদুল হক সাহেবের সুষ্ঠু পরিচালনায় পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল সহ সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি দিন দিন উন্নতি লাভ করে চলেছে।

সভাপতির বাণী

image-not-found

মানব সভ্যতাকে বিকশিত করার মূলে রয়েছে শিক্ষা। শিক্ষাকে পুঁজি করেই একটি জাতি উন্নতির চরম শীর্ষে পৌঁছায়। আর শিক্ষাকে সঠিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলে শিক্ষক সমাজ। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, সুদক্ষ পরিচালনা ও সঠিক নির্দেশনায় বিকশিত হয় শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভা, গড়ে তুলে দায়িত্বশীল সুনাগরিক। তাই শিক্ষকগণকে ভূষিত করা হয় সমাজ গড়ার কারিগর হিসেবে। সুদক্ষ,বিচক্ষণ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, সৃজনশীল মেধার অধিকারী শিক্ষক সমাজ ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরী করে পাঠদান সম্পন্নের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং পরিচালিত হচ্ছে পাছার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যত্রম। ১৯৮১ সালে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিদ্যালয়ের সুন্দর পরিবেশ, সন্তোষজনক ফলাফল ও নিয়মতাণ্ত্রিক ভাবেই বিদ্যালয়টি একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত। বিদ্যালয়টির ফলাফল যাতে আরও সুন্দর হয় সেজন্য শিক্ষক মন্ডলীর কাছ থেকে আরও আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করতে যে সমস্ত শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ শ্রম ও মেধা দিয়ে গেছেন এবং বর্তমানেও সহায়তা করছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। বিদ্যালয়টি যাতে করে উত্তরোত্তর উন্নতি ও সফলতা লাভ করতে পারে বিধাতার কাছে আমি এ প্রার্থনা করছি।

সভাপতি
পাছার উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি

প্রধান শিক্ষকের বাণী

image-not-found

জাতীয় জীবনে উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে শিক্ষা। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে আধুনিক যুগোপযোগী গুনগত শিক্ষা ব্যতীত আত্ননির্ভরশীল,আত্নবিশ্বাসী, আত্নসচেতনশীল দক্ষ ও সুখ্যাতি সম্পন্ন জাতি গঠন সম্পূর্ণভাবে অসম্ভব। আর সুদক্ষ তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর বিজ্ঞান মনস্ক জাতি গঠনে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে শিক্ষক সমাজ। শিক্ষক সমাজকে বলা হয় জাতি গঠনের কারিগর এবং বিবেকবান ব্যক্তি। বিবেকবান এবং নিবেদিত প্রান মেধাবী শিক্ষকের তত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছে পাছার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। সৃজনশীল মেধা ও আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার গুনগত কাঙ্খিত মানোন্নয়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ। পাছার উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অধ্যাবধি পর্যন্ত এ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, সুন্দর ফলাফল, সুশৃঙ্খল নিয়ম -কানুন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। যার সুফল লাভ করছে শিক্ষার্থীরা, নিশ্চিত হয়েছেন সম্মানিত অভিভাবকগণ। অত্র বিদ্যালয়টি এ অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারে প্রশংসনীয় অগ্রনী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সর্বোপরি পাছার উচ্চ বিদ্যালয় তার কাঙ্খিত সফলতা অর্জনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বর্তমান পর্যন্ত যারা সার্বিক সহযোগিতা করে শিক্ষা কার্যক্রমকে ধন্য করেছেন। শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার জন্য প্রয়োজন অনুকূল শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ। এ পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই নিয়মানুবর্তিতা, সাহিত্য-সংস্কৃতি, নিয়মিত পাঠ্যভ্যাস কর্মসূচী, মার্জিত আচরণ, ডিজিটাল কনটেন্ট উপস্থাপনের মাধ্যমে বিমূর্ত বস্তুকে মুর্ত করে বাস্তব উপকরনের সহায়তায় বিষয় গুলোকে একীভূত করে গুণগত শিক্ষার পরিবেশ ধরে রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।

প্রধান শিক্ষক
পাছার উচ্চ বিদ্যালয়